চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য (খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮- খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দ)
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম মৌর্য সাম্রাজ্য। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ অব্দে মগধের সিংহাসনে আরোহনের মাধ্যমে ভারতে মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতের প্রথম সম্রাট। পাটলিপুত্র ছিল তাঁর রাজধানী। চাণক্য ছিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী। চাণক্যের বিখ্যাত ছদ্মনাম কৌটিল্য।

যা তিনি তাঁর বিখ্যাত সংস্কৃত গ্রন্থ ‘অর্থশাস্ত্র’ এ গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রশাসন ও কূটনীতিকৌশলের সার সংক্ষেপ এই অর্থশাস্ত্র। তিনি আলেকজাণ্ডারের সেনাপতি সেলিউকাসকে পরাজিত করে উপমহাদেশ হতে গ্রিকদের তাড়িয়ে দেন। গ্রিক সেনাপতি সেলিউকাস খ্রিস্টপূর্গ ৩০২ অব্দে মেগাস্থিনিস নামে একজন গ্রিক দূতকে চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি কয়েকবছর এদেশে অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ‘ইন্দ্রিকা’ নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন।
সম্রাট অশোক (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩- খ্রিস্টপূর্ব ২৩২ অব্দ)
মৌর্য বংশের তৃতীয় সম্রাট ছিলেন অশোক। উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে। অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। প্রাচীন পুণ্ড্রনগর ছিল এ প্রদেশের রাজধানী।

মহাস্থনগড়ে সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে। কলিঙ্গের যুদ্ধ সম্রাট অশোকের জীবনে ছিল এক মাইলস্টোন। যুদ্ধে কলিঙ্গ রাজ সম্পূর্ণ পরাজিত হন এবং এক লক্ষ লোক নিহত হয়। কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তস্রোত অশোকের মনে গভীর বেদনার রেখাপাত করে। তখন কৃতকর্মের অনুশোচনায় মুহ্যমান অশোক বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁর শাসনামলে বৌদ্ধধর্ম রাজধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি পায়। তাঁর চেষ্টায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বধর্মের মর্যাদা পায়। এজন্য তাঁকে বৌদ্ধধর্মের কনস্ট্যানটাইন বলা হয়।
বৃহদ্রথ
মৌর্য বংশের সর্বশেষ সম্রাট ছিলেন বৃহদ্রথ।