বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১২০০ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময় মধ্যযুগ বলে চিহ্নিত। এর মধ্যে ১২০০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত দেড় শ বছরকে অন্ধকার যুগ বা তামস যুগ বলা হয়। ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি বাংলার সেন বংশের শাসক অশীতিপর বৃদ্ধ লক্ষণ সেনের রাজধানী নদীয়া বিনা বাধায় জয় করে এদেশে মুসলমান শাসনের সূত্রপাত করেন।
- ১৩৪২ সালে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ গৌড়ের সিংহাসন দখল করে দিল্লির শাসনমুক্ত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
- ইলিয়াস শাহ গৌড়ের পুত্র সেকান্দার শাহের আমলে বড়ু চন্ডীদাসের আবির্ভাব হয়।
- বড়ু চন্ডীদাসের কাব্য “ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন।

ইতিহাসকারদের মতে, দেড় শ দু শ কিংবা আড়াই বছর ধরে কাফেরদের ওপর হত্যাকান্ড ও অত্যাচার চালানো হয়।খ্রিঃ ১৩শ থেকে ১৫শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত-প্রায় দুই শত বছর তামসযুগ, ইউরোপের মধ্যযুগ “The Dark Age”- এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
ভুদেব চৌধুরী তাঁর “বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা” গ্রন্থে অন্ধকার যুগের সমর্থকদের মনোভাব তুলে ধরেছেন।আনুমানিক ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত কাল সৃজনহীন উষরতায় আচ্ছন্ন বলে মনে করা হয়।
এ সময়ের প্রথমেই “প্রাকৃতপৈঙ্গলের” মত প্রাকৃত ভাষার গীতিকবিতা গ্রন্থ সংকলিত হয়েছে।
এ সময়ের বাংলা সাহিত্যসৃষ্টির উল্লেখযোগ্য নমুনা-
- রামাই পন্ডিত রচিত “শূন্যপুরাণ” এবং এর “কালিমা জালাল” বা “নিরঞ্জনের রুম্মা”,ডাক ও খনার বচন
- হলায়ূধ মিশ্র রচিত “সেক শুভোদয়ার” অন্তর্গত পীর-মাহাত্ন্যজ্ঞাপক বাংলা “আর্যা” অথবা “ভাটিয়ালী রাগেন গীয়তে “